সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ চূড়ান্তভাবে পাসের আগে পর্যাপ্ত বিচার-বিশ্লেষণ করা হোক
- আপলোড সময় : ০৩-০১-২০২৫ ১০:৪১:১১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০১-২০২৫ ১০:৪১:১১ পূর্বাহ্ন
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু ইতোমধ্যে খসড়ায় অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েই গেছে বলে অংশীজন ও বিভিন্ন মহলের বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। বলা হচ্ছে, নতুন সাইবার অধ্যাদেশে পুরোনো আইনের মতোই পরোয়ানা, তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের বিধান রাখা হয়েছে, যেটি অবশ্যই উদ্বেগজনক। বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মতপ্রকাশই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো। এ দুটি আইনে এমন সব ধারা ও বিধান সন্নিবেশিত ছিল যে, সেগুলো নাগরিকের অধিকার হরণ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী অভ্যুত্থানোত্তর সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্প্রতি প্রস্তুতকৃত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায়ও এমন ধারা রাখা হয়েছে, যে-ধারার মাধ্যমে আইনটি অপব্যবহারের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাব্যতা ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও পুলিশের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আসলে এটি আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের একধরনের পুনরাবৃত্তি। অধ্যাদেশটিতে অনেক শব্দের ব্যাখ্যা নেই, ভাষা দুর্বোধ্য ও বিভ্রান্তির। এতে অপব্যবহারের সুযোগ রয়ে গেছে। তাই দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ চূড়ান্তভাবে পাসের আগে পর্যাপ্ত বিচার-বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ